আবার ও প্রমাণিত হলো জাতপাত উঁচু নিচু ধর্মের উপর মানুষ সত্য। মানুষ মানুষের জন্য।
ফিলিস্তিনী খলিল মাহমুদ আমেরিকায় রিফুজি, বিয়ে করেছে এক আমেরিকান তরুনীকে। খলিল ফিলিস্তিন ছাত্র আন্দোলনের নেতা। ইসরাইল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছে।
ট্রাম্প এসে তাঁকে বের করে দেয়ার জন্য আটক করেছে।
তাঁর স্ত্রী ৮ মাসের গর্ভবতি, এ অবস্থায় বহিস্কার অমানবিক। বড় প্রতিবাদটা করেছে নিউ ইয়র্কের ইহুদি শিক্ষার্থীরা - খলিল মাহমুদকে বহিস্কার করা যাবে না। তারা ট্রাম্প টাওয়ারের নীচতলা দখল করে চিৎকার, খলিল মাহমুদকে বহিস্কার করা যাবে না। নিউ ইয়র্ক পুলিশ তাদেরকে দমাতে না পেরে ৯৪ জনকে গ্রেফতার।
মানুষ মানুষের জন্য। কিন্তু মুসলিম শুধু মুসলিমের জন্য। এরা করো সাথে বন্ধুত্ব করলেও উদ্দেশ্য থাকে । কারন তারা বিধর্মীকে শত্রু বলে মানে। তাদের ধ্বংসই একমাত্র বাসনা কামনা।
"হামাস মানুষের জন্য না, কেবল মুসলিমদের জন্য"। তাই উম কিপুর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া নীরিহ ইহুদিদের বারশ জনকে হত্যা করে ২৫০শ জন ধরে নিয়ে গেলে যুদ্ধে ৫০,০০০ নীরিহ ফিলিস্তিন মুসলিম মারা যায়। যুদ্ধ বিরতি হলে হত্যার কষ্টে ইহুদিরা বিজয় উৎসব করেনি, ফিলিস্তিনরা করেছে। কেন করেছে?
তারা এখনো বেশি বেশি সন্তান জন্ম দেয় নাকি হামাস এ পাঠানোর জন্য, একজন ইহুদি দুনিয়াতে থাকতে নাকি যুদ্ধ হবে। ইহুদিরা পারলেও সব ফিলিস্তিনী মারেনি, জিম্মি মুক্তি পর্যন্ত থামেনি, তবে ইচ্ছা করলে গাজা মানবশুন্য করতে পারতো। ফিলিস্তিনিরা এখনো সেই হাদিস বিশ্বাস করে, প্রাণ ভয়ে পাথরের পেছনে একজন ইহুদি পালালেও পাথর বলে, একে হত্যা কর। শক্তি থাকলে হামাস ইমাম মাহদী হয়ে গাজুয়াতুল হিন্দ করতো। শক্তি নেই কেন? ইহুদির এত শক্তি কেন? শক্তির বাইরে জানা দুনিয়া কিছু দেখেনি। মুসলমান চেষ্টা করলে শক্তি অর্জন সম্ভব হতো, অন্ধভাবে আল্লাহ ভরসা করায় হয়নি। আল্লাহ মগজ দিছে, সেটা যে কাজে লাগায়, তার শক্তি হয়, তা যে ধর্মের হোক। তারপরও দুনিয়া বিধর্মীশুন্য করতে হবে?
আহা, তা আল্লাহ সমর্থন করলে তিনি অলৌকিক শক্তি দিয়ে ৬০০ কোটি অমুসলিমকে মেরে ফেলুক বা জন্ম না দিত। এত সহজ যুক্তি বলে, ওসব বিশ্বাস মুসলমানের এত দুর্ভোগের কারণ। দুনিয়ায় সব মানুষ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একসাথে বাস করবে - এ বিশ্বাস জরুরী। ইহুদি শিক্ষার্থীরা এ বিশ্বাস থেকে আন্দোলনে নেমেছে, তোমরা যতই শত্রু মনে করো।