✑ মোঃ আহসান কবির রিজওয়ান
পানি, আরশ, কলম এগুলোকে সর্ব প্রথমের সৃষ্টি বলা হয়। কলম সৃষ্টির পরে আল্লাহ কলমকে বলেছেন, কেয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক বস্তুর তাকদির লিখতে। এটি আরবি ভাষার এক বচন আর বহু বচন আকলাম। কলমের রঙ্গের প্রকার ভেদ থাকে, কলমেরও প্রকার ভেদ থাকে। বাক্/মত প্রকাশ করাটাও স্বাধীনতার অংশ। ক্রিয়াবিভক্তি সামঞ্জস্য রেখে আমরা মৌখিক ও লিখিত আকারে কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক, বিনোদন, হাসি-কান্না, শিক্ষানীয় এই ব্যাপারে কথা বলতে পারি। শুনে, দেখে, জেনে, অনুমান করে পরিস্থিতির সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করি। কখনো বিপদে পড়েও তা সমাধান করতে চেষ্টা করি। অনুভূতিটা আমাদের নিজস্ব সত্তা। কাল্পনিক আর মিথ্যার মধ্যে তফাত রয়েছে। জবান (কথা) এটিও এক প্রকার আমানত, কথার সাথে কাজের মিল থাকাটা আবশ্যক। সংবাদ, সাহিত্য, সংস্কৃতি-সাংস্কৃতিক এগুলোতে কথা/শব্দ (মনের ভাব) ব্যবহৃত হয়, এটিও শিল্পের অন্তর্ভুক্ত। সংবাদ হচ্ছে রাঙ্গা মশালের মত (ইত্যাদি প্রকার সংবাদ রয়েছে), যা আমাদেরকে অন্ধকারে আলোর পথ দেখায়। আলোর প্রদীপের প্রাণ আলোয় পুড়ায় তাকে (বাংলা টু বাংলা ডিকশনারি: সরু করে পাকানো কাপড়ের ফালি/সলতে করে যার এক প্রান্ত প্রদীপের তেলে ডুবিয়ে রেখে অন্য প্রান্ত প্রজ্বালন করা হয়, এখানে সলতে ও তেলকে প্রাণ বলা হয়েছে।) অর্থাৎ সংবাদ হচ্ছে খোলা চিঠি আর সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে দেশ-বিদেশে পাঠিয়ে দেয় সমাজের পরিস্থিতির কথা। এখানে থাকে সুখ-দুঃখের সংবাদ। আমাদের মনের খোরাকও আমরা এগুলো থেকে পেয়ে থাকি। সাংবাদিকের মধ্যেও প্রকার ভেদ থাকে: কেউ সৎ, কেউ হলুদ সাংবাদিক ও কেউ ভূয়া। স্বৈরাচার আমলগুলোতে আমরা দেখেছি বাক্ স্বাধীনতার নাক চেপে ধরা হয়েছিল/হচ্ছে। তবুও কেউ সাহসের সঙ্গে আমাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছে ন্যায়-অন্যায়ের কথা, প্রকৃতির বর্ণনা। সংবাদের সাথে সাহিত্যের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাইতো কলম সৈনিকেরা লিখে যাচ্ছে ভাল-মন্দ, প্রেম-বিপ্লব বা চারপাশে যা ঘটে। কেউ নোংরা রাজনীতি করে জনপ্রিয়তা পায়, আবার কেউ নিজেকেই ভুলতে বসে জীবনের সাথে সংগ্রাম করতে। কেউ আকাশের নক্ষত্র আর্ট করে কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তা কাউকে জানাতে পারেনা। কেউ বেঁচে থাকতে মূল্যায়ণ পায়, কেউ কেউ পায়না। কেউ স্মৃতিতে গেঁথে থাকে, কেউ স্মৃতি থেকে ছিটকে পড়ে যায়। মরার পরে কেউ তাকে অস্বীকার করে, কেহ ফের সন্মানের স্বীকৃতি পায়। কার পরিবার কেমন আছে/ কারো পরিবারের খোঁজ নেওয়ার কেউ আছো আবার কারো ফের তা নাই। যেমন- অনেকের মেধা/পরিশ্রমের কদর করার কেউ থাকেনা। এমনো হতে পারে কেউ লঞ্চে উঠে সাগরের মাঝপথে আটকিয়ে গেছে। সমস্যা জিনিসটি সবার জীবনে থাকে। কেউ অবহেলিত হয়, জীবদ্দশায় কেউ সমাজের আড়ালে চলে যায়। আজকে একজনের কিছু মহাত্ব মুহুর্ত শেয়ার করতেছি যিনি ঝরে পড়া কিছু কবি সাহিত্যিককে গড়ে তোলার কারিগর। তবে নিজেকে পরিশ্রমী হতে হবে, এটি একটি সত্তা। নিজের মেধা খাটিয়ে লিখতে হবে (উস্কানি বা হেয়মূলক না)। অসাধুরা এই প্লাটফর্মে স্থান পাবে না। আজকালের আলোর প্রকাশক ও জাতীয় পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক আজকের জনকথা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আহমেদ হোসাইন ছানু ভাইকে নিয়ে এই কলাম। তিনি মিশুক ভাবে সংবাদ সংগ্রহ করতেও দক্ষ। তিনি সকল প্রকার হালাল রুজিকে সন্মান করে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের অনেকেই তাঁর কাছ থেকে অনুপ্রাণিত, দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে তাঁর অবদানের সুনাম। এতে আমরা গর্বিত, এ যেন সিলেটের এক নক্ষত্র। তাঁর পত্রিকার পাঠক ঢাকার পাশাপাশি সারা বাংলা ও বিভিন্ন দেশে রয়েছে। তিনি সবাইকে আহবান করে সুন্দর পরিবেশের সমাজগড়ার, যেখানে থাকবেনা কোন ভেজাল মুক্ত বাতাস! সবাই মুক্ত ভাবে নিশ্বাস নিতে পারবে। নিজেদের শিল্পে অন্যরা মুগ্ধ হবে, অন্যদের শিল্পে আমরা মুগ্ধ হব (++=+)। সবার প্রতি লাল গোলাপের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ছানু ভাইয়া।