ওসমান গনি
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া উপজেলা তিতাসগ্যাস এর বিশেষ অভিযান চালিয়ে পৃথক স্থানে তিনটি চুনা কারখানার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নপূর্বক কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। কারখানা তিনটিতে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার গ্যাস ব্যবহার করা হতো বলে জানিয়েছে সোনারগাঁ মেঘনাঘাট অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সুরজিত কুমার সাহা।
গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা এবং ভাটেরচর নতুন রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় পরিচালিত এই অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মামুন শরীফ বলেন, গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে পরিচালিত হয় এমন বেশ কিছু ঢালাই লোহা এবং চুনা কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার ব্যাপারে খবর পাওয়ার পরপরই আমরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। আজকে আনারপুরা এবং ভাটেরচর নতুন রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি অবৈধ চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো।
মামুন শরীফ আরো বলেন, অবৈধ চূনা কারখানায় ভাড়া দেওয়া জমি মালিকদের কে আইনের আওতায় আনা হবে এমন কার্যক্রম চলছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
তিতাস গ্যাস সোনারগাঁ মেঘনাঘাট অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সুরজিত কুমার সাহা বলেন, গত কয়েক মাস ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আজকে আমরা ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা এবং ভাটেরচর নতুন রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি অবৈধ চুনা কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি কারাখানার তিনটির সব স্থাপনা এক্সেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছি। কারখানার তিনটিতে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বেশি গ্যাস ব্যবহার করা হতো।
এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম রনি, উপসহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে গজারিয়া থানা পুলিশ।