আহসান হাবীব আরমান, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
পহেলা বৈশাখ হচ্ছে লোকজের সঙ্গে নাগরিক জীবনের একটি সেতুবন্ধ। ব্যস্ত নগর কিংবা গ্রামীণ জীবন যেটাই বলা হোক না কেন, এই নববর্ষই বাঙালি জাতিকের নাগরিকরে অতেীয়তাবোধে। বাংলাবর্ষ ১৪৩২ কে বরণ করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠান পরিণত হয় প্রত্যেকটি বাঙালির কাছে শিকড়ের মিলনমেলায়। ধর্ম, বর্ণ সব পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে বাঙালি জাতি এই নববর্ষকে সাদরে আমন্ত্রণ জানায়। বছরের প্রথম দিনটি বাঙালিরই শুধু নয়, বাংলা ভাষাভাষী আদিবাসী ও নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটি মানুষের জীবন-জগতে স্বপ্নময় নতুন বছরের শুভ সূচনা ঘটায়। জীর্ণ-পুরোনোকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করে বাঙালি জাতি। পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতে থাকত পুরো জাতি। পহেলা বৈশাখ, বাংলা সনের প্রথম দিন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে ৮ টার সময় সরকারি দামদেও বাজলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্বলিত সম্প্রীতির মহোৎসব “বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে সার্কেট হাউজ মাঠে এসে সমাপ্ত হয়। এই শোভাযাত্রায় জয়পুরহাটে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজ নিজ ব্যানের অংশ গ্রহন করা দেখা যায়। সেখানে ১৫/১৬টি ষ্টল তৈরি করে জেলা প্রশাসক। প্রত্যেক ষ্টলে চিড়া দই, বাতাসা গুড়ের মুরকি, কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ, আলুভত্তা, বাটামাছ ভাজিসহ পান্তা খাবার মহোৎবের মেলা চলে। মেলা আগামী ২ দিন পর্যন্ত চলবে। জেলা প্রশাসকের উদ্দ্যোগে গ্রাম বাংলার সাংস্কৃতিক, গান, ঢোলের বাজনা, কবিতা, লাঠি খেলা, হা-ডু, মোরগ লড়াই খেলায় বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ( রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত) এ এম এইচ ওবায়দুর রহমান চন্দন, ফয়সাল আলীম, জেলা বিএনপি আহবায়ক গোলজার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মাসুদ রানা প্রধান, যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল ওয়াহাব, জেলা জামাতের আমীর ডাঃ ফজলুর রহমান সাঈদ, সহকারি সেক্রেটারী হাসিবুর আলম লিটন, , জয়পুরহাট প্রেষক্লাবের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক,শহর বিএনপি সাধারন সম্পাদক আবু রায়হান উজ্জল প্রধান, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে আহবায়ক সানজিদ , জেলা শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।