মর্মান্তিক আত্বহত্যা
-এম আলী হুসাইন
কবে হবে সেই ছেলে?
আমার সোনার বাংলায়!
দোয়া করবে হাতটি তুলে
থাকবে মা-বাবার কথায়।
রাগ করবে না মায়ের সাথে
বাবাকে করবেন না অপমান
কর্মে থাকবে বিজি দিন-রাতে
তাদের জন্যে দিবে জান-প্রাণ।
রাজশাহীতে কি হল?
বলে যাই সবাইরে।
বয়োবৃদ্ধ করলেন কি?
প্রকাশের ভাষা নাই রে।
স্ত্রীর শোকে বৃদ্ধ কাতর!
বাঁচার সুযোগ চাইরে।
কে রাখবে পাশে?
চার সন্তানের কেউ নাইরে।
ঝগড়া হল দিন কয়েকদিন
বৃদ্ধ অপদস্থ প্রতিদিন।
বৃদ্ধের পক্ষে কথা বলার
কেউ যে আর নাই।
বউয়ের জ্বালায় পাগল
তার দুই ছেলে।
বাবাকে বলতে পারে না
তাহার কথা শুনতে পারে না
প্রাণ খুলে।
মেয়েরা ব্যস্ত স্বামী নিয়ে
বাবারে দেখার কেউ নাই রে!
পুত্র বধূরা শ্বশুরকে
মেনে নিতে পারে না
তাহাকে বিদায় করা ছাড়া
উপায় ছিল না।
অভাবে সংসারে
ঝগড়া চলে দিনে
সুখে থাকতে বৃদ্ধকে
বের করে দিল বাড়ী থেকে।
বৃদ্ধ দেখলে চেয়ে
কি হবে আর বেঁচে থেকে
রেল ষ্টেশন চলে গেল
অভিমান আর ক্ষোভ নিয়ে।
সকাল থেকে দুপুর
থাকে ক্ষুধার্ত সেখানে।
কেউ ত আসলনা খুঁজতে
দিলনা কেউ রাত।
এমনি ভাবে চলে গিয়েছে
আরো কত রাত।
আর কতদিন যাবে এমন
ভালো লাগে না।
স্ত্রী নেই,বলব কাকে দুঃখ
আর দেখাব না মূখ।
আসছে ট্রেন দেখে বৃদ্ধ
গেলেন নিকটে।
রেল লাইনে শুয়ে বৃদ্ধ
চাকা নিলেন পিঠে।
মূহুর্তেই শেষ হল জীবনের
সতর্কবার্তা দিলেন আমাদের।
সেই ছেলেটা কবে আসবে এই সমাজে?
ধর্ষন রুখবে? রুখবে অপকর্ম।
আত্বহত্যা হবে না
থাকবে সে মাজলুমের পক্ষে।
জালিমদের তাড়িয়ে দিয়ে
এই সমাজ সুন্দর করে গড়বে।
সেই ছেলেটা কবে আসবে?