অথই নূরুল আমিন
আজকে পহেলা বৈশাখ মানে বাংলা নববর্ষ। আজকে সকালে মিশন শিক্ষা পরিবারের, মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সম্মানিত প্রফেসর মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্যারের অফিস কক্ষে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়েছিলাম।
এখানে আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ আতিকুর রহমান খন্দকার, তিনি সাবেক একজন সরকারি কর্মকর্তা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, তিনি তো মাশাল্লাহ্ অসংখ্য গুণের অধিকারী।
এখানে ধর্ম এবং দাওয়াত নিয়ে বেশ লম্বা আলোচনা হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চলমান দাওয়াতী বিষয় নিয়ে কথা বলেন, প্রফেসর মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির সাহেব। আসলে দাওয়াত কি এবং দাওয়াত কেন? তিনি খুব সুন্দর ব্যখ্যা দিয়েছেন। এবং পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে চমৎকার আলোচনা করেছেন। এক পর্যায় তিনি বেশকিছু শিক্ষামুলক বই আমাকে উপহার দিয়েছেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের লেখার শিরোনাম : আমরা কোথায়, দেশ কোথায়, কি ভবিষ্যত সমগ্র জাতির? আলোচনা চলছে যার যার জায়গা থেকে। কথা কিন্তু ঠিক। আমাদের আলোচনা সমালোচনা গুলো কিন্তু কেউই সমগ্র জাতির স্বার্থে অনেকেই করছি না। আমরা আমাদের নিজ নিজ দল বা মতের পক্ষে সবসময় মতামত দিয়ে যাচ্ছি।
যেমন কেউ কেউ বলছেন, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হয়ে যাক। কেউ কেউ বলছেন ২০২৬ সালের জুনে হলেও সমস্যা নেই। আবার অনেকেই বলছেন বতর্মান সরকার আরো পাঁচ বছর থাকুক। কেউ কেউ বতর্মান সরকারকে কোনোভাবেই মেনে নিচ্ছেন না।
কথা থাকে যে, বতর্মানে সাধারণ জনগণের মধ্য থেকে দেশের বড় একটি বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারকে হারাতে চাচ্ছেন না। যারা এই সমাজের নিম্ন আয়ের জনগণ। তার প্রথম কারণ হলো। নিত্য পণ্যের মূল্য কম থাকা। যেমন আলু পেয়াজ রসুন শাকসবজি ইত্যাদি। কারণ হলো আওয়ামী লীগ আমলে গত পনেরো বছরের ভিতরে নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে গাণিতিক হারে। এক দয়া মায়াহীন সরকারের নাম ছিল শেখ হাসিনার সরকার।
গত পনেরো বছরে এই দেশের গরিব এককথায় যারা শহরের ভাড়া বাসায় থেকে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে যুগের পর যুগ। তাদের প্রতি শেখ হাসিনার সরকার চরম অন্যায় করেছিল। সরকারের সহযোগিতায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। যা এই দেশের গরিব মানুষেরা কখনও শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করবেন বলে আমার মনে হয় না।
আজকে যারা নির্বাচন চাচ্ছেন। তারা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। তারা নির্বাচন চাইতেই পারেন। কিন্তু কথা থাকে যে। ৫ ই জানুয়ারি ২০২৪ জাতীয় নির্বাচন হলো। যদি এখনও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকত। তাহলে হিসাব মতে ২০২৯ সালে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। সে হিসাব মতে বর্তমান সরকারের কাছে সুবিধা পাওয়া জনগণেরা এখন আর জাতীয় নির্বাচন চাচ্ছেন না।
অন্য দিকে বতর্মান সরকারকে যারা পছন্দ করছেন না। ওরা হলো একধরনের স্বার্থপর তারা এখনও আওয়ামী লীগের অন্ধ ভক্ত। তাই তারা বতর্মান সরকার নিয়ে নানারকম অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন। আসলে আমাদের উচিৎ। গোটা জাতির সুন্দর ভবিষ্যৎ নিয়ে একজোট হয়ে কোনো ভালো সিদ্ধান্ত নেয়া। তাহলেই আমরা সকলেই ভালো থাকব। সকলের জন্য ভালো হবে বলে আমি মনে করি।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী