রংপুর প্রতিনিধিঃ
আজ বিশ মার্চ বৃহঃস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কারমাইকেল কলেজ শাখা কতৃক কারমাইকেল কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন। বিশেষ অতিথি ছিলেন
আতিকিল ইসলাম লেলিন ( সদস্য সচিব যুবদল, মহানগর রংপুর )এবং রবিউল ইসলাম রবি ( সদস্য সচিব, রংপুর মহানগর ছাত্রদল)।
অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মধ্যে ছিলেন – মো: রফিকুল ইসলাম দুলাল(সাবেক দপ্তর সম্পাদক, মহানগর ছাত্রদল),আল আমিন ( আহবায়ক,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যাল ছাত্রদল),রাশেদ ( সদস্য সচিব,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যাল ছাত্রদল ), শাহরিয়ার রাহাত মেরিন (মহানগর ছাত্রদল যুগ্ম আহবায়ক),
মো: আকাশ ( যুগ্ম আহবায়ক জেলা ছাত্রদল),বারেক হোসেন জীবন (সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক, মহানগর ছাত্রদল),
আশিক রায়হান (সভাপতি, তাজহাট থানা ছাত্রদল),আবু তালহা ( সাংগঠনিক সম্পাদক, তাজহাট থানা ছাত্রদল)।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো:আবদুল্লাহ আল মেহেদী হাসান তানভীর ( আহবায়ক, কারমাইকেল কলেজ ছাত্রদল)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন মো: আরিফ হাসান (সদস্য সচিব,কারমাইকেল কলেজ ছাত্রদল)।সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় ছিলেন :
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক : মাহাফুজ আলম মীম।যুগ্ম আহ্বায়ক :
আসিফ,সানভী,ঐশ্বর্য,মেহেরাজুল,রবিউল,আলিফ,রায়হান,আশরাফুল নিরব,হাদি,আনসারুল,নয়ন,আল আমিন, সাঈম,নূর হোসেন।
দপ্তর সম্পাদক : এ.বি.এম ফাইজুন নাবী সহস্র।
সদস্য : সৌকত,বাধন,মিলন, রোমিও সহ অনেকে।
আজকের এই অনুষ্ঠানে ১০০০+ ইফতারি প্যাকেট এর আয়োজন করা হয়।এতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয় অনেক মানুষ। সম্পূর্ণ সুশৃঙ্খল ভাবে অনুষ্টান টি সম্পন্ন হয়েছে এবং কোনোরকম গোলযোগ বা অসন্তোষের খবর শোনা যায়নি।
রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনেক অতিথি। তন্মধ্যে প্রাবন্ধিক এবং সাহিত্য সাময়িকীর সম্পাদক আসিফ খন্দকার এই অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে স্বতন্ত্র বার্তা কে বলেন, “বর্তমানে দেশের যা প্রেক্ষাপট তাতেকরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। একটি বিশেষ গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে অত্যন্ত তৎপর। এমতাবস্থায় একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের হাল এখন ধরতে পারে একমাত্র বিএনপি। স্বাধীনতা এবং জাতীয়তাবাদ কে ধারণ করে বিএনপি ছাড়া এমন কোনো রাজনৈতিক দল এখন নেই। আজকের এই বড় পরিসরে তবে সুশৃঙ্খল যে অনুষ্ঠান কারমাইকেল কলেজ ছাত্রদল করলো এতে বোঝা যায় বিএনপি বরাবরের মতো এখনো গণতন্ত্রের রাজনীতিতেই বিশ্বাস করে।বিশেষ করে জুলাইয়ের পর থেকে তারেক রহমান এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রসঙ্গে পলিটিক্যালি কারেক্ট রাজনীতি করে আসছেন।বর্তমানে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শহুরে এলিট ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যেও নতুন করে আশা সঞ্চার করেছে। এটা আমি আমার আশেপাশেও দেখেছি। দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ বিশ্বাস করে, এবারের পরিণত তারেক রহমান দেশকে আগের চেয়ে ভালো নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। এবং জিয়া পরিবারের ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়েও আশাবাদী অনেক মানুষ। তাবিথ আউয়াল বাফুফে সভাপতি হিসেবে বেশ ভালো কাজ করছেন। বিএনপির হাইকমান্ড শক্তিশালী এবং তাদের একটি সিভিল সোসাইটি রয়েছে। এজন্য সবাই বিএনপিকে নিয়ে আশাবাদী।আর ছাত্রদল আজকের এই অনুষ্ঠানের মতো বিভিন্ন আয়োজন করে গণমানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে।দেশে চলমান অস্থিতিশীলতা কাটাতে এখন দ্রুত নির্বাচন এবং এতে সকল সচেতন নাগরিকদের বিএনপি কে সমর্থন করা প্রয়োজন”।