মোঃ ফুয়াদ হাসান
ভাসতে -ভাসতে জলে মিলিয়েছি অস্তিত্ব নেই আর
অথৈ সাগরে হাবুডুবু- অদম্য লড়াই বেঁচে থাকার।
ভাঙতে ভাঙতে চূর্ণবিচূর্ণ- বাকি নেই কিছু ভাঙার!
আমি পাইনি কিছু জীবনে- নেই কিছু ভয় হারাবার।
পুড়তে-পুড়তে অঙ্গার- আশা ভরসা কর্পূরের ছাই,
প্রতিদিন মিশি উড়ি ধূলো হয়ে দ্বিকবিদিক হাওয়ায়।
আজ যতো পা-ই ব্যথা হয়না জখম লাগে না আঘাত
রক্তে মাংসের দেহখানা পাথুরে নদী থেমে চলা জলপ্রপাত।
দেখো তুমি চেয়ে চোখে- ছুঁয়ে দিয়ে বাড়িয়ে হাত
আজ আমার নির্ঘুম এক'লা কাটে শতাংশ রাত
এখন স্বপ্নে'রা জাল বুনে না- নব প্রত্যয়ে প্রয়াত।
ফুরিয়ে গেছে কথা'রা শুকিয়ে ভেজা কান্নার দল
বুকের জমিতে কোষ্ঠকাঠিন্য নামে না আর ঢল,
আসে না আর কষ্টের জোয়ার আবেগী জল!
দুঃখের সমুদ্রে ডুবি না গভীর যতো থাকুক অতল।।
দু'বেলার পান্তা ভাতে পড়ে থাকা আধ খাওয়া এটো-জুটো,
মরতে-মরতে কূল খুঁজে তীরে আসা ঢেউয়ে ভাসা খড়কুটো।
সুখ মানে শুধু এখন দুঃসাধ্য চাওয়া অধরা খেলনা!
সুখ কি-বা দুঃখ তাতে কী আর? মিছে সব ফেলনা!
জীবনের গল্প চাওয়া পাওয়া নিয়ে-ই বেঁচে থাক হাসি-কান্না।।