টুটুল তালুকদার,
গাজীপুর : মন চায় উড়তে, চলো যাই ঘুরতে…. আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে একটি সফল পিকনিকের আয়োজন সম্পন্ন করেছেন আমবাগ ইউনিক স্কুল এন্ড কলেজ কোনাবাড়ী গাজীপুর। নরসিংদী ড্রীম হলিডে পার্কে এই পিকনিক অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী-২০২৫ ইং) সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে আমবাগ ইউনিক স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন গাজীপুর মহানগরীর ১০ নং ওয়ার্ড ফ্রিড মিলসে’র ভিতরে রাখা ১৬টি বাস পিকনিকের যাত্রার উদ্বোধন করেন।
আয়োজক কমিটির অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. ইদ্দিস সরকার (সভাপতি) কোনাবাড়ী মেট্রো থানা বিএনপি, মো. রবিউল আলম (রবি) সাবেক (সভাপতি) কোনাবাড়ী মেট্রো থানা বিএনপি, মো. দেলোয়ার হোসেন (দুলাল) সাবেক কাউন্সিলর ১০ নং ওয়ার্ড গাজীপুর মহানগর, আয়নাল হোসেন কন্টাক্টার সাবেক (সভাপতি) ১০ নং ওয়ার্ড গাজীপুর মহানগর বিএনপি, মো. সেলিম সরকার (সভাপতি) ১০ নং ওয়ার্ড গাজীপুর মহানগর বিএনপি, রিপন আল মামুন, আলহাজ্ব মোশারফ, আমজাদ হোসেন সরকার, সাইসাধ আলী হাওলাদার, ও মনির হোসেন আরো অনেকে।
আমবাগ ইউনিক স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষক / শিক্ষিকা সহ এক ঝাঁক উদ্যোমি তরুণদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিকতায় পিকনিকটি সারাদিনব্যাপী আনন্দমুখর হয়ে উঠে।
এদিন সকাল আটটা বিশ মিনিটে আমবাগ ইউনিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে প্রায় ১৬ টা বাস গাড়ি নিয়ে পিকনিকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয়। পিকনিক স্পটে পৌঁছার আগেই রুটি ও কলা দিয়ে সকালের নাস্তা পর্ব শেষ করে।
পিকনিকের জন্য মনোগ্রাম সম্বলিত তৈরিকৃত ও আমবাগ ইউনিক স্কুল এন্ড কলেজ এর নাম উল্লেখিত সাদা গেঞ্জি উপস্থিত প্রাক্তন ছাত্রদের মাঝে বন্টন করা হয়। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন চমকপ্রদ ইভেন্ট। শুরুতেই
নরসিংদী ড্রীম হলিডে পার্কে ভিতরে প্রবেশ এর সাথে সাথে চোখে পড়ে রাক্ষসের হাসি, মনোরম সুইমিংপুল, আর্দশ গ্রাম, স্পীড ভোট, ভুতের বাড়ী, দেখার মতো আরো অনেক কিছু। সুইমিংপুলে উপস্থিত অনেকেই পরিবার সহ সাঁতার কেটে আনন্দ উল্লাস করে।
জোহরের নামাজ আদায় করার পর সকলে দুপুরের খাবার শেষ করেন। দুপুরের খাবার শেষ হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় ছাত্র-ছাত্রীদের ড্যান্স, শেষ হয় আনন্দদায়ক প্রতিযোগিতামূলক রেফেল ড্র খেলা দিয়ে। পিকনিকে সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিলো রেফেল ড্র। সর্বশেষ বিভিন্ন প্রতিযোগীতা ও রাফেল ড্র এর পুরস্কার তুলে দিয়ে পিকনিক শেষ হয়।
আনন্দমুখর একটি পিকনিক আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে আমবাগ ইউনিক স্কুল এন্ড কলেজে’র
ম্যাডাম রোকেয়া আক্তার কাকন দৈনিক সময়ের ডাক’কে বলেন, সারাদিনের আনন্দমুখর একটি সময় পার করেছি। সবাই খুব আনন্দ করেছেন এবং বেশ উপভোগ করেছে। তবে এই নির্মল আনন্দ কেটে যাওয়া সময় গুলো যেন বিদায় বেলায় এসে এক ঝাঁক উদ্যোমি তরুণদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিকতায় পিকনিকটি সারাদিনব্যাপী আনন্দমুখর হয়ে উঠে।
ম্যাডাম প্রিয়া সরকার বলেন, পিকনিক মানেই আনন্দ আর হুল্লোড়। পরিশেষে নির্মল আনন্দ। প্রত্যেক ছাত্র জীবনে সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে পিকনিক। সবাই মিলে যে রকমই রান্না হোক না কেন স্বাদ কিন্তু একটাই। সবাই একসাথে কোথাও গিয়ে জমজমাট মজা করার অন্যতম উৎস হচ্ছে পিকনিক।
ম্যাডাম লাবনী সাহা বলেন, নরসিংদী ড্রীম হলিডে পার্কে এমন সুন্দর নির্মল আনন্দ ভরা সারাটা দিন আয়োজন করে আমাদের উপহার দেয়ার জন্য পিকনিক কমিটির সবাইকে আমি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি। আমরা সবাই যেন এই দিনটিতে এক পরিবার হয়ে উঠেছিলাম। সত্যি আমরা উপস্থিত প্রাক্তন ছাত্র ও তাদের পরিবার সহ খুব সুন্দর একটা আনন্দ মুখরিত দিন উদযাপন করলাম।