• বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

গণ ভবনের কর্মচারী পরিচয়ে প্রতারণা! কে এই প্রতারক শাহনেওয়াজ?

স্টাফ রিপোর্টার / ২০ Time View
Update : সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কে এই প্রতারক শাহনেওয়াজ,কি তার পরিচয়? নিজেকে গণভবনের কর্মচারী ও সাবেক গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের ( বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক ) ঘনিষ্ঠ লোক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রতারণা করে, এ, আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। শুধু তাই নয় এই প্রতারক শাহনেওয়াজ নিজেক গণভবনের কর্মচারী পকর্মচারীদের দিয়ে বিভিন্ন তদবির বানিজ্য ও প্রতারণা করে আসছিল, তার কাজই ছিল বড় বড় কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে কৌশলে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া, আমাদের অনুসন্ধানে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে এসেছে এবং অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
সম্প্রতি গত-৩১/১২/২২ ইং তারিখে সে গাজীপুর সিটির মোগরখাল এলাকায় অবস্থিত নীট সিটি লিমিটেড নামে গার্মেন্টস এর প্রধান নিবাহী পরিচালক সৈয়দ রিয়াজুল করিমের সাথে প্রতারণা করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, শুধু তাই নয় তার এই প্রতারণার ফলে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সৈয়দ রিয়াজুল করিম এখন সর্ব শান্ত হয়ে পড়েছেন।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানাযায়, ভুক্তভোগী সৈয়দ রিয়াজুল করিম এবং তার ভাই গত ২০১৪ সালে গাজীপুর সিটির মোগরখাল এলাকায় জনৈক খায়রুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও খোরশেদ আলমের নিকট থেকে ফ্লোর ভারা নিয়ে নীট সিটি লিমিটেড নামে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী চালু করে, পরবর্তীতে করোনা মহামারি কোভিড-১৯ এর কঠিন ভয়াবহতায় ও মালিক পক্ষে অবৈধ ঝুঁট ব্যাবসা দাবি করে বিল্ডিং বুজাইয়া না দেয়ায় ফ্যাক্টরীটি বন্ধ হয়ে যায়, দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার এক পর্যায়ে ফ্যাক্টরীর মাসিক ভাড়া প্রায় ৬০( ষাট)লক্ষ টাকা বকেয়া পড়ে যায় এবং ভবন মালিক পক্ষ মহামান্য কোটের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরে ও জি এম পি কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের সহযোগিতায় ফ্যাক্টরিতে তালা ঝুঁলিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী সৈয়দ রিয়াজুল করিম তৎকালীন জিএমপি কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান বকেয়া বিল পরিশোধ না করা পর্যন্ত ফ্যাক্টরীর তালা খোঁলা হবে না, আপনি টাকা নিয়ে আসেন তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
কোন উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী সৈয়দ রিয়াজুল করিম মালিক পক্ষের নিকট আবেদন নিবেদন করে ৫০% টাকা দিয়ে ফ্যাক্টরীর মালামাল নিতে চাইলে তাকে নাকচ করে দেয়া হয় এবং বলা হয় বিষয়টি এখন জিএমপি কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম সাহেবের তত্বাবধানে রয়েছে উনি ছাড়া এটার ফয়সালা আমরা দিতে পারবো না, এমতাবস্থায় সৈয়দ রিয়াজুল করিমের পূর্ব পরিচিত এক লোকের মাধ্যমে ( জিএমপি কমিশনারের ভাই এবং গণ ভবনের কর্মচারী পরিচয় দানকারী) প্রতারক মোঃ শাহনেওয়াজ এর সাথে যোগাযোগ করে দেয়া হলে তিনি বলেন এক ঘন্টার মধ্যে এই সমস্যা সমাধান করে দিতে পারবে, জিএমপি কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম আমার ভাই, আপনি আমাকে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা দিবেন আমি এক ঘন্টার মধ্যে সবকিছু সমাধান করে আপনার ফ্যাক্টরী ও মালামাল আপনাকে বুঝিয়ে দিবো।
প্রতারক শাহনেওয়াজ এর কথায় বিশ্বাস করে সহজ সরল ও ভুক্তভোগী সৈয়দ রিয়াজুল করিম নগদ ২০ লক্ষ টাকা এনে তার হাতে তুলে দেয়, টাকা গ্রহণ করার পর প্রতারক শাহনেওয়াজ বলেন আপনি চলে যান আগামী এক ঘন্টার মধ্যে আমি সবকিছু সমাধান করে আপনাকে জানাচ্ছি।

কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও যখন কোন সমাধান ও প্রতারক শাহনেওয়াজ এর মোবাইলে ফোন করে কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তখন তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন প্রতারক শাহনেওয়াজ তার সাথে প্রতারণা করেছে।

এদিকে সময়মতো টাকা দিতে না পারায় তারা তৎকালীন জিএমপি কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের সহযোগিতায় ফ্যাক্টরির সকল মেশিন পত্র ও মালামাল লুট করে বিক্রি করে এবং পুরো ফ্যক্টরি তাদের দখলে নিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সৈয়দ রিয়াজুল করিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন প্রতারক শাহনেওয়াজ আমার কাছ থেকে, নগদ ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আমদের সবকিছু শেষ করে দিয়েছে, আমার ফ্যাক্টরীতে ১২ কোটি টাকার উপরে মেশিনারিজ ও মালামাল ছিল এখন সবকিছু শেষ, ঐ দিকে প্রতারক শাহনেওয়াজ কোন টাকা ফেরত দিচ্ছে না, টাকা ফেরত চাইলে উল্টো সে আমাকে মেরে ফেলবে লাশ ও খুজে পাবেনা আমার ফামিলি সে গনভবনের লোক, সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হত্যা মামলার ভয় দেখানো শাহনেওয়াজ এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াই।
আমি এই প্রতারকের নামে ঢাকার বিজ্ঞ সিএমএম আদালতে মামলা দায়ের করেছি ( সি আর মামলা নং- ১১৪/২৫ ধারা-৪২০, ৪০৬,৫০৬ দঃ বিঃ) আমি প্রতারক শাহনেওয়াজ ও তার সাথে জড়িত সকলের বিচার চাই।

আরও জানাগেছে ঐ প্রতারকের নাম : মোঃ শাহনেওয়াজ, সে নিজেকে গণভবনে পিএম দফতরের কর্মচারী বলে পরিচয় দিতো, কাজ না করে বেতন তোলা ও তদবির বানিজ্য করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তার মুল কাজ।

তার গ্রামের বাড়ি : নড়াইল জেলার, কালিয়া থানার চাচুড়ি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে, তার পিতার নাম মৃত শেখ তোরাব আলী, সে বর্তমানে ঢাকার তেজগাঁও, ৬/এ মনিপুরী পাড়ায়, ৫ নং রোড এর ভারা বাসায় থাকেন। সে একজন প্রতারক বিভিন্ন তদবির বানিজ্য করাই তার মুল পেশা, সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঠিকানায় থাকেন, এক বাসায় ৩/৪ মাস অবস্থান করে আবার বমুল্যবান পরিবর্তন করেন, তার সার্বিক বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধান চলছে, এই প্রতারকের বিষয়ে কারো কাছে কোন তথ্য থাকলে তা অবশ্যই আমাদের কে জানানোর জন্য দেশের সচেতন মহলের নিকট অনুরোধ করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
February 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭