তুহিনুর রহমান তালুকদার
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ৩ নং ইউপির নিজ আগনা গ্রামের পাক-পাঞ্চায়েত এর কবর জিয়ারত সম্পুর্ন হয়েছে। আজ বিকাল আছরের নামাজের পর পরই নিজ আগনা গ্রামের জামে মসজিদ এর ইমাম সহ ছোট্ট বড় সবাই মিলে একসাথে কবর জিয়ারত করা হয়েছে,
এতে ২ নং পূর্ব ইউপির আওতাধীন বাগাউড়া গ্রামের উত্তর জামে মসজিদ এর ইমাম এবং খতিব হাফেজ মাওলানা কয়েছ আহমেদ বলেন, নবুয়তের প্রথম দিকে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলেন। পরে তিনি বলেন, আমি তোমাদের কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন ওই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে এখন তোমরা কবর জিয়ারত করতে পার। কারণ তা দুনিয়ার মোহ দূর করে এবং আখেরাতকে মনে করিয়ে দেয়। (ইবনে মাজাহ ১৫৭১)
এবং শবে বরাআত এর আমল এবং ফজিলত শবে বরাতে মসজিদে ফরজ নামাজ শেষ করে ঘরে এসে একাকী দীর্ঘ সেজদায় নামাজ পড়ার কথা হাদিসে রয়েছে। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন—‘একবার রাসুলুল্লাহ (স.) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হলো- তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন, তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না- হে আল্লাহর রাসুল। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার এই আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। তখন নবী (স.) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভালো জানেন। রাসুলুল্লাহ (স.) তখন ইরশাদ করলেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত)। আল্লাহ তায়ালা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।’ (শুয়াবুল ঈমান, বায়হাকি: ৩/৩৮২-৩৮৩; তাবারানি: ১৯৪)
উল্লেখিত হাদিস থেকে এ রাতের মাহাত্ম্য যেমন জানা যায়, একইভাবে এ রাতের আমল কেমন হওয়া উচিত তাও বোঝা যায়। এই রাতে প্রিয়নবী (স.) এত লম্বা সেজদায় ছিলেন যে আয়েশা (রা.) ভাবলেন যে নবীজি মারাই গেছেন। সুতরাং উম্মত হিসেবে আমরাও এই রাতে দীর্ঘ সেজদার সঙ্গে নফল নামাজ পড়ব ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সুন্নতের অনুসারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।