ওসমান গনি
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে জলদশূদ্যের গোলাগুলিতে দুই জন নিহত ও পরে বাড়িতে ঢুকে এক নারীকে গুলি করার পর আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারী ) বিকাল ৩টার দিকে জলদশ্যূ কানা জহিরকে ধরতে অভিযান চালায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ও চর-আবদুল্লাহপুর নৌ পুলিশ। পুলিশ অভিযানের সময় পদ্মা নদীতে স্পিডবোড নিয়ে অবস্থান করছিল কানা জহির ও তার লোকজন। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে নদীর পাশের চরে উঠে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
এ ব্যাপারে চর আবদুল্লাহপুর নৌ পুলিশের ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, আমরা বিকাল ৩ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কালিরচর মরা পদ্মায় জলদশ্যূ কানা জহির তার লোকজনদের ধরতে অভিযান চালাই। এ সময় জলদশ্যূরা আমাদের লক্ষ্য করে অনেকগুলো গুলি ছুড়ে নদীর পাশের চরে উঠে পালিয়ে যায়। আমরাও জলদশূদের লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ি। পরে ওদের ফেলে যাওয়া স্পীড বোর্ড ও ওদের রান্না করার একটি ট্রলার জব্দ করি। ওই সময় ওরা ৫/৬ জন ছিল। পরে ওদের স্পিডবোড হতে ১১টি হাত বোমা একটি শর্ট গানের গুলি একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করে জব্দ করি।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কালীরচর গ্রামের অদূরে মেঘনা নদীতে কানা জহির ও কিবরিয়া মিঝির দুই দল ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলিতে ২জন নিহত হয়। সেই জের ধরে কানা জহিরের প্রতিপক্ষ রাজুর উপর শুক্রবার সকালে হামলা চালায় কানা জহিরের লোকজন। তাকে না পেয়ে তার বোন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শাহনাজ বেগম পিংকিকে গুলি ছুড়ে। এতে ওই নারী উরুতে গুলিবিদ্ধ হন। পিংকির ভাই রাজু অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী কিবরিয়া মিজির সহযোগী বলে জানাগেছে। পরে পিংকি ওইদিন বিকেলে শহরের শ্রীপল্লী এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে ছেলে সন্তান জন্মদেন। এ ঘটনায় পিংকির স্বামী সম্রাট বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় কানা জহির ও তার লোকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।