রবিউল গাজী
সবুজ সতেজ প্রবাহণীর তীরে যখন পড়ে রই
একলা বসে যখন ভাবি জীবন যাপন
স্বপ্ন মোর সোনার সাঝে এসে ধরা দেয়
ভুলিয়ে দেয় সব যাতনা,পিপাসা,বেদনা।
হাসি শেষে ওপারেতে দেখি রাখাল ছেলে
মনের সুখে ছুটছে আর দীপ্ত মহিমায়।
স্নিগ্ধ সবুজ ঘাসের বুকে যখন রাখি মাথা
ওমনি করে হিংস্র ষাড়,তেরে এসে যায়
“বাংলা মায়ের ছেলে আমি”,সহজ সরল
চলে যায়,সারাদিন দেখা নাই আর।
চোখ পড়ে যায় নদীর তীরের বড়ই গাছের ছায়া
সেথায় বসে পথিক দূর করে সব কষ্ট মায়া।
হাত বাড়িয়ে যখনি আমি বড়ই ছিড়তে যাই
কাটা ফুটে চার-পাঁচটা দূরে চলে যায়।
“বাংলা মায়ের ছেলে আমি”,করুণা করে বলি
ডাল গুলো সব নড়ে চড়ে ভরে আমার ঝুড়ি।
নদীর তীরের সরল মাঝি মুসা কালামুল্লাহ
নৌকাটা তার বেশ ছোট বৈঠা একটা।
ওপারেতে যাবো বলে করি নানান বাহানা
মাঝি আজ ক্লান্ত।ক্ষুধা আজ সারাদিন
“বাংলা মায়ের ছেলে আমি”,বলি হাসিমুখে
হাসিমুখে জারি গান ওপারেতে ত্রাণ।
সত্যের খোঁজে যখন আমি দূর্বা ঘাসে হাটি
অন্তর মোর তৃপ্তি পায়,ধন্য হয় জীবন।
হটাৎ দেখি ঘাস পেরিয়ে আসছে বিশাল সাপ
এবার বুজি রক্ষা নাই,আকস্মিক মৃত্যু হয়!
“বাংলা মায়ের ছেলে আমি”,বলি কাতর সুরে
হাসিমাখা মুখ দেখিয়ে দুরে চলে যায়।
হটাৎ দেখি টাখনু জলে বগ করেছে খেলা
মাছ ধরতে লাফালাফি দেখতে চায় মন।
লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসি হাতের তালায়
পুটি,চাপিলা,মলা দি চোখ পড়ে না
“বাংলা মায়ের ছেলে আমি”,বলি অভিমানে
ওমনি সব গ্রাস করে উড়ে চলে যায়।।