মোঃ শিপন আহমেদঃ
দীর্ঘদিন পর শুনা যাচ্ছে মাদারগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির কমিটি হবে আর এই কমিটির সভাপতি পদপ্রার্থী জামালপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলির সম্মানিত সদস্য, জামালপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জননেতা ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু।
ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জুর সভাপতি পদপ্রার্থীর কথা শুনে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। কারণ জামালপুর জেলার মধ্যে মাদারগঞ্জ উপজেলা রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য এ উপজেলায় কমিটিতে পদ-পদবি পেতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন জননেতা ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু।
স্বতন্ত্র বার্তা পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক মোঃ শিপন আহমেদ এর সৌজন্যে সাক্ষাৎকারে ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু বলেন স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত দীর্ঘ ১৭ বছরে সারা বাংলাদেশটাকে একটি বৃহত্তর কারাগার বানানো হয়েছিল। শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে খুনি হাসিনার নির্দেশে হামলা হয়েছিল এবং নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে আলেম ওলামাদের। অন্যায়ভাবে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দিয়ে কারাগারে রেখে ছিল আমাদের দেশ্যনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কে।
তিনি আরো বলেন, আমার নেতা বিএনপির এক্টিং চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্মম নির্যাতন করে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, তিনি প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। বন্ধুরা আমার গত নির্বাচনের আগে আমার বাড়ীতে একটি নির্বাচনী সভা করেছিলাম আপনারা সারা মাদারগঞ্জ থেকে এসেছিলেন ঐ রাতে খুনি মির্জা আজম যিনি ইতোমধ্যে বিডিআর হত্যাকান্ডের আসামী হয়েছেন তার নির্দেশে ঐ রাতেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার মনে আছে গুনারীতলার সাতপাড়ার যারা আছেন পুলিশ আসার খবর পেয়ে আপনারা মেয়ে ছেলে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন পুলিশ ৭ রাউন্ড গুলি করার পরও ছত্রভঙ্গ করতে পারে নাই। আমাকে অন্যায়ভাবে সাড়ে ৩ মাস জামালপুর কারাগারে রাখা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে, আমি যখন জামিন পেলাম আমি অত্যন্ত ভয়ে ছিলাম এই সরকার অসংখ্য খুন করেছে গুম করেছে, হাজারো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে।
আমি যদি এলাকায় যাই হয়তো আর বেঁচে থাকতে পারবো না তাদের অত্যচারের ভয়ে আমি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। মামলা হামলার কারণে আমি দেশে আসতে পারি নাই নিজের বাপের মৃত্যুর খবর পেয়েও। আমি দেশে এসেছি আমরা যারা মেলান্দহ মাদারগঞ্জে বিএনপি করি আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক সকলেই ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করবো।আর আপনারা সবাই যদি আমার কাজে সন্তষ্ট হন, যোগ্য মনে করলে আমাকে অবশ্যই পুনরায় সভাপতি মনোনীত করবে ইনশাল্লাহ।