• বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

রেড-ইয়েলো-গ্রিন জোন : কোথায় কী নিয়ম?

Reporter Name / ১৬ Time View
Update : শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশের বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন বা লাল, হলুদ ও সবুজ এই তিন ভাগে ভাগ করে জোনভিত্তিক লকডাউন করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এতে কোথায় কী ধরণের অঞ্চল হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত রোডম্যাপ তুলে ধরা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে।

কোনো একটি এলাকার করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা ও সংক্রমণের ধরণ বিবেচনা করে এই জোন ভাগ করার চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানান আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন।

লাল, হলুদ আর সবুজ – এই তিন জোনে ভাগ করা হবে বিভিন্ন এলাকাকে। একেক জোনের বাসিন্দাদের জন্য একেক রকম নিয়ম কানুন বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে।

মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা রেড জোন হবে, মাঝারিটা হবে ইয়েলো আর যেসব এলাকায় সংক্রমণ নেই বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে সংক্রমণ হয়েছে সেসব এলাকা থাকবে গ্রিন জোনে। সংখ্যাগত ও গুণগতভাবে বিচার করে কোন এলাকা কোন জোনে রাখা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

তবে গ্রিন জোনকে নিরাপদ হিসেবে ধরে নেয়া হলেও সেসব এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম না করা, অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার মত নিয়ম মেনে চলতে হবে মানুষকে।

রেড জোন

যেসব এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে সেগুলোতে কড়াভাবে লকডাউন কার্যকর করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান মুশতাক হোসেন। তবে সুপারিশগুলো সম্পর্কে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। রেড জোনে যেসব কোভিড-১৯ রোগী থাকবেন এবং যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন, তাদের নিজেদের বাসা থেকে বের হতে দেয়া হবে না। আক্রান্ত রোগী ও কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের খাবার ও জরুরি ওষুধ তাদের বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

তবে সেসব এলাকায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, গ্যাস, বিদ্যুৎ বা গণমাধ্যম সেবার সাথে জড়িত জরুরি কর্মীদের বিশেষ অনুমতিপত্র থাকবে। যেটি দেখিয়ে তারা এলাকায় যাওয়া আসা করতে পারবেন। লকডাউন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে এসব জরুরি সেবার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আলাদাভাবে থাকার ব্যবস্থা করা যায় কিনা, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান মুশতাক হোসেন। এলাকা লকডাউন করা হলেও এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় যাওয়ার বড় রাস্তা লকডাউনের আওতায় থাকবে না।

তিনি জানান, ‘বড় বড় রাস্তা, যা অন্যান্য বাসিন্দারা ব্যবহার করবেন, সেটি বন্ধ করা হবে না। হয়তো চারদিকে রাস্তা আছে, তার মাঝখানের অংশটুকু বেষ্টনীর ভেতরে থাকবে। রাস্তার অপর পাশ হয়তো আরেকটি বেষ্টনীর ভেতর থাকবে’

রেড জোনে থাকা এলাকাগুলোতে যারা ঘরে কোয়ারেন্টাইন করতে পারবেন না, তাদের জন্য কমিউনিটি কোয়ারেন্টাইনন কেন্দ্র করা হবে। এছাড়া প্রত্যেকটি রেড জোনের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে একটি হাসপাতাল।

তিনি বলেন, ‘এলাকার মধ্যে বা আশেপাশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থাকলে সেটিকে ঐ এলাকার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।’

মুশতাক হোসেন আরো জানান, রেড জোনের লকডাউন কার্যকর করার খুঁটিনাটি সূক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।

ইয়েলো জোন

মুশতাক হোসেন বলেন, ‘কোভিড-১৯ রোগী ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের জন্য রেড জোন আর ইয়েলো জোনের নিয়ম একই থাকবে। তবে ইয়েলো জোনের আক্রান্ত না হওয়া বাসিন্দারা এলাকা থেকে বের হতে পারবেন। এছাড়া ইয়েলো জোনে হাসপাতাল, গ্যাস, বিদ্যুৎ সেবার অফিস ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কিছু অফিস খুলে দেয়া হতে পারে। কিন্তু কোন অফিসগুলো খুলে দেয়া হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মুশতাক হোসেন।

গ্রিন জোন:

যে এলাকাগুলোতে করোনার আক্রমণ একেবারেই কম বা যেখানে কোনো করোনা রোগী নেই সে এলাকাগুলো গ্রিন জোনের আওতায় থাকবে। গ্রিন ও ইয়োলো জোনের মতো কঠোরতা এ জোনে থাকবে না।

সূত্র : বিবিসি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
June 2020
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০